ভারতের মঞ্চে স্বপ্নদলের ‘হেলেন কেলার’

ভারতের অন্যতম নাট্যদল প্রাচ্য নিউ আলিপুর আয়োজিত চলমান সপ্তাহব্যাপী ‘পূবের নাট্যগাঁথা’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক নাট্যোত্সবের সমাপনী দিনে ২৮ জুন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় কলকাতার সল্টলেকস্থ ইস্টার্ন জোন কালচারাল সেন্টারের পূর্বশ্রী মিলনায়তনে মঞ্চায়িত হবে বাংলাদেশের তারুণ্য দীপ্ত নাট্য সংগঠন স্বপ্নদলের প্রশংসিত মনোড্রামা ‘হেলেন কেলার’। ‘বিশ্বের বিস্ময়’ মহিয়সী নারী হেলেন কেলারের জীবন, কর্ম, স্বপ্ন, সংগ্রাম, দর্শনভিত্তিক স্বপ্নদলের দর্শকনন্দিত প্রযোজনা ‘হেলেন কেলার’ রচনা করেছেন অপূর্ব কুমার কুণ্ডু, নির্দেশনা দিয়েছেন জাহিদ রিপন। এতে অভিনয় করছেন জুয়েনা শবনম। প্রযোজনা ব্যবস্থাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন শাখাওয়াত শ্যামল।

এর পূর্বে প্রাচ্য নিউ আলিপুরের আমন্ত্রণে এ উত্সবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি এবং বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বপ্নদলের প্রধান সম্পাদক জাহিদ রিপন।

স্বপ্নদলের ‘হেলেন কেলার’ প্রযোজনাটি অন্ধ ও বধির হওয়া সত্ত্বেও প্রবল আত্মবিশ্বাস আর শিক্ষয়িত্রী অ্যানসালিভানের অতিমানবিক প্রেরণায় হেলেন কেলারের সকল নেতিবাচকতার বিরুদ্ধে ঘুরে দাঁড়ানোর কাহিনি। এতে হেলেন কেলারের নিজ শিক্ষয়িত্রী আ্যাানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের ভাষ্যে প্রকাশিত হয় চার্লি চ্যাপলিন, মার্ক টোয়েন, কেনেডি, আইনস্টাইন প্রমুখ বিশ্ববিখ্যাত ব্যক্তিত্বের সান্নিধ্যে তার জীবনের সমৃদ্ধির কথা। উন্মোচিত হয় পাশ্চাত্যের হেলেন কেলারের জীবনে প্রাচ্যের রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তথা রবীন্দ্র দর্শনের প্রবল প্রভাবের প্রকৃত স্বরূপ! উঠে আসে নারী জাগরণ ও মানবতাবাদের পক্ষে এবং যুদ্ধ, ধ্বংস, সহিংসতা, বর্ণবাদ তথা আণবিক অস্ত্রের বিরুদ্ধে তার স্পষ্ট অবস্থানের কথা। পাশাপাশি উচ্চকিত হয় ব্যক্তিজীবনের নানা পূর্ণতা-অপূর্ণতার প্রসঙ্গও। অজস্ত্র প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে লড়াই করে প্রকাশিত ও বিকশিত হয়ে মানবকল্যাণে নিবেদিত হতে পারাটাই হয়তো জীবনের চূড়ান্ত সার্থকতা—এ উচ্চাঙ্গের অনুভবটিই শেষাবধি প্রধান হয়ে ওঠে হেলেন কেলারের জীবনীনির্ভর এবং গবেষণাগার পদ্ধতিতে নির্মিত ঐতিহ্যের ধারায় আধুনিক বাংলা নাট্যরীতির এ প্রযোজনায়।

প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালে প্রাচ্য নিউ আলিপুর আয়োজিত দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক নাট্যোত্সবে স্বপ্নদলের ‘স্পার্টাকাস’ প্রযোজনাটি আমন্ত্রিত হয়।